গত (২ ডিসেম্বর থেকে ৬ ডিসেম্বর) বারহাট্টা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপজেলার ৭ টি ইউনিয়ন থেকে মোট স্কুল এবং মাদ্রাসাসহ (১২-১৭) বছর বয়সি ছাত্র-ছাত্রী মোট ২৬টি প্রতিষ্ঠানের মোট ৫৯৪২ জন টিকার আওতায় ১,০০০ জনের বেশি ছাত্র-ছাত্রী প্রতিদিন টিকা নিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভিড় করেছে। পুরো হাসাপাতাল জুড়ে যেন উপচে পড়া ভিড়। ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে টিকা হাসপাতাল টিকার দায়িত্বে থাকা লোকজন। এমন হযবরল আয়োজনে বিরক্ত শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবক সহ শিক্ষার্থীদের নিয়ে যাওয়া শিক্ষকরাও।
বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঘুরে দেখা যায় এমন হযবরল চিত্র।
ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে জনা যায় যে, প্রখর রৌদে লাইনে দাড়িয়ে থাকতে থাকতে দুপুর ১:০০ টার পর টিকাদানে দায়িত্বপ্রাপ্তদের কাছ থেকে জানানো হয় যে, ভ্যাকসিন শেষ- নেত্রকোনা থেকে আনিয়ে তারপর দিতে হবে। এতে আরও ঘন্টা খানিক দেরি হবে। দেরি হোক তবুও, এসেছি যখন টিকা নিয়েই বাড়ি ফিরবো, এটাই ছিল তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য।
এই যুদ্ধের মধ্য দিয়ে ৬ডিসেম্বর টিকা দেয়ার কার্যক্রম শেষ হয়।
শিক্ষক ও অভিভাবকরা টিকা দেওয়ার এমন হযবরল অবস্থা দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
তারা বলেন, কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শতশত শিক্ষার্থী একদিনে একই সময়ে জমা করে এমন ভিড় জমানো ঠিক হয়নি। প্রতি বিদ্যালয়ে গিয়ে টিকা দেওয়া উচিত ছিল। ছাত্র-ছাত্রী অভিভবাবক মিলে কয়েক হাজার মানুষ এখানে ভিড় করেছে। পা ফেলার জায়গা নেই। টিকা দেওয়ার এই ভুল সিদ্ধান্ত করোনা সংক্রমণের রিস্ক আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতিকেই তারা এমন অবস্থার জন্য দায়ী করছেন।
শিক্ষকরা বিরক্তি প্রকাশ করে জানান, শিক্ষার্থীদের টিকা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেওয়ার দরকার ছিল। এখানে আসতে তারা অভিভাবক সাথে নিয়ে এসেছে। এতে করে ভিড় আরও বেড়েছে। অন্যথায় যদি একদিনে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হতো তবে ভীর কম থাকতো। টিকা কার্যক্রমের দায়িত্বে যারা তাদের আরও সচেতন হওয়া উচিত।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বলেন, একদিনে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার ফলে প্রচুর ভিড় হয়েছে। আমাদের লোকজন কম থাকায় ভিড় সামাল দেওয়া কঠিন হয়েছে। টিকা মুলত এসির মধ্যে দিতে হয়, না হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়েই দেওয়া যেত। তবে ভিড় এড়াতে সামনের দিনে একটি করে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা আছে।
Leave a Reply