নেত্রকোণা জেলার (বারহাট্টা—নেত্রকোণা) উপজেলা সীমানার দেউলী মোড়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ম্যুরাল খচিত সীমানা তোরণ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব, আশরাফ আলী খান খসরু, এমপি (মাননীয় প্রতিমন্ত্রী, সমাজকল্যাণ মন্ত্রনালয়) আজ ১১ ডিসেম্বর রোজ শনিবার প্রধান অতিথি হিসেবে দৃষ্টিনন্দনীয়, এই তোরনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষনা করেন।
এ উপলক্ষে তোরণ প্রাঙ্গনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বারহাট্টা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মাইনুল হকের সভাপতিত্ব ও ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার আজাদের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক এমপি আব্দুল মোতালিব খান পাঠান, নেত্রকোণা জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক মোঃ মাজহারুল ইসলাম, বারহাট্টা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আজিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজি আব্দুল ওয়াহেদ, বারহাট্টা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার শাহ মোঃ আব্দুল কাদের, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (চলতি দায়িত্ব) সানজিদা চৌধুরী, বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান, উপজেলা পরিষদ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহিনুর আক্তার শায়লা, নেত্রকোনা জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম মুখলেছুর রহমান খান প্রমুখ।
প্রধান অতিথি মাননীয় প্রতিমন্ত্রী বীরমুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু বলেন, গ্রাম হবে শহর, প্রধানমন্ত্রীর এই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হচ্ছে। এক সময় যে সকল রাস্তায় পায়ে হেঁটে চলাচল করাও কঠিন ছিল, সেই সকল রাস্তা এখন পাকা হয়েছে।
এভাবে শহর আর গ্রামের মাঝে দূরত্ব কমে যাচ্ছে। এখন দেশে ভিখারী নেই। ছদকা দেয়ার জন্য খোঁজাখুঁজি করেও ভিখারী পাওয়া যায় না। সব কিছুই জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য সম্ভব হচ্ছে। এ জন্য তাঁর হাতটা আমাদের শক্ত করে ধরতে হবে। যে কোন পরিস্থিতিতে তার পাশে থাকতে হবে।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মাইনুল হক বলেন, নির্মিত তোরণ বারহাট্টা উপজেলাবাসির জন্য একটি মাইল ফলক। তোরণে খচিত বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ম্যূরাল এলাকাবাসির মাঝে তাঁদের স্মৃতিকে জাগরূপ করে রাখবে। তিনি বলেন, এই তোরণ নির্মানে মোট ২১ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়েছে। তার মধ্যে উপজেলা পরিষদ থেকে ২ লক্ষ টাকা দেয়া হয়েছে।
Leave a Reply