শুক্রবার রাতে সবুজবাগ থানাধীন পূর্ব বাসাবো কদমতলা হক সোসাইটি এলাকার পাশে মোঃ বারেক মিয়ার বাড়ীর পেছনে আনুমানিক রাত ১১টায় এই হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়েছে।
মৃত ব্যক্তির গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা ছিলো
হক সোসাইটি এলাকার যুবকেরা সহ স্থানীয় আরো কিছু লোকজন ৯৯৯ নাম্বারে কল করে পুলিশকে খবর দিলে কিছুক্ষণের মধ্যেই সবুজবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
ওসি মুঃ মোরাদুল ইসলাম তার ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছে যান।
এ সময় ধৃত সেই ব্যাক্তিটিকে এলাকাবাসী পুলিশের হাতে সোপর্দ করে দেয়। এসময় থানার পুলিশ ও সিআইডি একটি টিম সেখান থেকে মৃতদেহটি এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ছুরি সহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করে।
ছুরির আঘাতের বেশ কয়েকটি চিহ্ন পাওয়া গেছে। মৃত ব্যক্তির নাম জহির মুন্সী ও তার বাবার নাম মোকলেস মুন্সী বলে জানা যায়। তারা কদমতলা হক সোসাইটির সি/১৮ নং বাড়ীতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করেতেন ।
পরবর্তীতে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল মর্গে পাঠানো হয়।
গ্রেপ্তারকৃত সেই ব্যক্তির নাম নাজমুল বলে জানা যায়।
সে প্রাথমিকভাবে অস্বীকার করলেও পরবর্তীতে পুলিশের কাছে সে নিজে ও তার আপন বোনের জামাই আলমগীর মিলে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে স্বীকারোক্তি প্রদান করে বলে জানান ওসি মুঃ মোরাদুল ইসলাম। এ বিষয়ে সবুজবাগ থানায় একটি হত্যাকাণ্ড মামলা সংঘটিত হয়েছে।
আজ সকালে আসামী নাজমুলকে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলার দ্বিতীয় আসামী নাজমুলের বোনজামাই পলাতক আলমগীরকে গ্রেপ্তারের সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে বলে জানান ওসি মুঃ মোরাদুল ইসলাম।
মৃত জহির মুন্সী এলাকায় মুদি দোকানদারি করতে। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এই নিশৃংস হত্যাকাণ্ডে জড়িত খুনিদের বিচার চেয়ে আজ দুপুরে এলাকাবাসী
সবুজবাগ থানায় এসে মানববন্ধন করে ফাসির দাবি করেন !
Leave a Reply