দক্ষিণা মাতাল হাওয়ায় মাঠে মাঠে দোল খাচ্ছে সোনালি আমন ধান, কৃষকদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ঘাম ঝড়ানো বুকভরা স্বপ্ন। তাই, নবান্নের উৎসবে মেতেছে বারহাট্টা উপজেলার ৪ হাজারেরও বেশি খেটে খাওয়া কৃষক পরিবার।
অগ্রহায়ণের এ সময়ে গ্রামে গ্রামে নতুন সোনালি ধানের মৌ মৌ গন্ধ বাতাসে উড়ে বেড়ায়।
নবান্ন উৎসব মানে, কৃষক পরিবারের বাড়ির আঙিনায় সোনালি ধান তোলায় ব্যস্ত সারাদিন।
বর্তমান সময়ের কৃষক প্রতিটি আমন সৌসুমে মাঠ থেকে ধান কাটার পর মেশিন দিয়ে মাড়াই শেষে তা গোলায় তোলে নেয়।
বর্তমানে উচ্চ ফলনশীল বিভিন্ন জাতের হাইব্রিড ধান, কাটা ও মাড়াইয়ে কৃষক ও কৃষাণীরা দিনরাত ব্যস্ততার মাঝে পার করছেন। অধিক পরিশ্রমের ফলে, তাদের লক্ষ্যমাত্রাও বেশী অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
কৃষি অফিস ও বিভিন্ন অঞ্চলের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারাগণও আমনের বিভিন্ন প্রজাতির ধান উৎপাদনে কৃষকদের বিভিন্ন উপদেশ দিয়ে সাহায্য করেছেন । উৎপাদন ভাল হওয়ায় তারা বেশ মুগ্ধ হয়েছেন।
কৃষকরা জানান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ রাকিবুল হাসান মহোদয়ের পরামর্শে এবারের ফসল ভাল হয়ছে ।
একজন কৃষক বলেন, চলতি বছরের জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে জমিতে আমন চাষ শুরু করেন। এতে খরচ পরেছে সব মিলিয়ে প্রতি একরে ৭/১০ হাজার টাকা ।
উপসী এবং হাইব্রিড জাতের আমন ধানের চাষ করে, আমনের ভাল উৎপাদনে এখানকার কৃষক পরিবারগুলো মহাখুশি। তাই কমড়ে গামছা বেধে ধান ক্ষেতে পরিবারের সকল সদস্যদের নিয়ে ধান কাটতে নেমে পরেছেন।
ধান উৎপাদনের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষি কর্মকর্তা মোঃ রাকিবুল হাসান জানান, এবার আমনের বিভিন্ন প্রজাতীর ধান উৎপাদনে কৃষকরা মুগ্ধ হয়েছেন। চলতি বছরে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় আমন ধানের উৎপাদন হয়েছে,অন্যান্য বছরের তোলনায় অনেক বেশি।
কৃষি কর্মকর্তা জানান, আশা করছি এ বছর ধান উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।
Leave a Reply