উপজেলা ট্যাজারি অফিস সহ বিভিন্ন দপ্তরে চাকরি দেওয়ার কথা বলে, লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে মেহেদী হাসান পারভেজ নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
গত রবিবার (২৮ নবেম্বর)গণমাধ্যম কর্মিদের কাছে এ অভিযোগ করেন প্রতারণার শিকার বেশ কয়েকজন ব্যক্তি। তারা জানান, মেহেদী হাসান পারভেজ চাকুরী দেয়ার নাম করে, আমাদের কাছ থেকে টাকা নেয়। টাকা হাতে পেয়ে গেলেই সে, প্রতারণার জাল বিছানো শুরু করে ।
অভিযুক্ত মেহেদী হাসান পারভেজ, নেত্রকোনা সদর উপজেলার সিংহের বাংলা ইউনিয়নের রায়দুমরুহী গ্রামের মৃত আরফান আলী তালুকদারে ছেলে। সে পূর্বে বারহাট্টা উপজেলার ট্রেজারি অফিসে চাকুরী করত, বর্তমানে সে, জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলায় ট্রেজারি অফিসে পিয়ন পদবীতে কর্মরত রয়েছে।
সুজন মিয়া নামের এক ভুক্তভুগী জানান, আমার দুই ছেলেকে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে ৮ লাখ টাকা নেয়। এরপর থেকে সে, আমার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। পরে জানতে পেরেছি যে, সে একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে প্রতারণা করে টাকা নিয়েছে। এরকম বেশ ক’জন ব্যক্তি তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধোঁকা দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়ার কথা জানিয়েছে। তার খপ্পরে পড়া এমনি একজন ব্যক্তি রিপন মিয়া জানান, ঢাকা বিমানবন্দরে চাকরি দেয়ার কথাবলে ১লক্ষ টাকা নেয় প্রতারক পারভেজ।
সুলতান নামের একজন জানান, ঢাকায় বড় অফিসে চাকুরী দেয়ার নাম করে ১লক্ষ টাকা নেয়। ইমরান নামের এক ব্যক্তি জানান, তাঁর বউকে বিদেশে পাঠাবে বলে ১ লক্ষ টাকা নিয়েছে। এছাড়াও একাধিক ব্যক্তি তাদের কাছ টাকা নেওয়ার অভিযোগ করেন। বর্তমানে সে টাকা দেয়ার ভয়ে, গা-ঢাকা দিয়েছে।
আরও খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দুর্নীতির কারনে সুনামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অফিস থেকে সে চাকুরী হারান। অনেকেই তার প্রতারণার শিকার হয়ে নিঃস্ব হয়েছে। প্রতারণার শিকার ব্যক্তিরা প্রতারক পারভেজকে দ্রুত গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্তের ভাই ও নেত্রকোনা দত্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শামীম তালুকদারের কাছে ফোনে জানতে চাইলে, তিনি বলেন সুজন মিয়ার টাকার ব্যাপারে কথা বলার সময়, আমি ছিলাম কিন্তু টাকা দেওয়ার সময় আমার সামনে দেয়নাই। উনি বলেন, এটা সেপারেশনের ব্যাপার এ বিষয়ে আমাকে বিরক্ত করবেন না বলে ফোন কল কেটে দেন।
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে, ভুক্তভোগী মেহেদী হাসান পারভেজের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে, সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
বিঃদ্রঃ বারহাট্টার বুকে এমন অনেক মুখোশধারী প্রতারক আছে, যারা পারভেজের থেকেও নিকৃষ্ট । তারা উচ্চ পর্যায়ের বিভিন্ন রাজনীতিবিদের সাথে চলাচল করে পাওনাদারদের ভীতসন্ত্রস্ত করে রাখে । যার ফলে পাওনাদাররা মুখ খুলতে সাহস পায়না। তারা দিব্যি বুক ফুলিয়ে সমাজের বুকে চলছে ।
এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছে ভুক্তভোগীরা সবাই
Leave a Reply