সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অতীতে যে স্থানে কাঁচাবাজার লাগতো সেই স্থানে সরকারি হাটবাজারের জন্য উন্মুক্ত খাস জমি দখল করে দোকানপাট, ঘরবাড়ি, গোডাউন নির্মাণ করেছেন একটি চক্র। দোকানপাট নির্মাণের ফলে কাঁচামাল বিক্রির হাট লাগার জায়গা না থাকায় কাঁচাবাজারটি লাগছে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের সাথেই।
মূলত সাপ্তাহিক হাটবার রবিবার ও বুধবার সকাল বেলার বাজার চলা অবস্থায় রংপুর এবং ঢাকাগামী যানবাহনের চরম যানজটের সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন স্কুল কলেজগামী ছাত্রছাত্রীরা চরম ভোগান্তির পাশাপাশি প্রতিনিয়ত ইভটিজিং এর স্বীকার হচ্ছে। বিভিন্ন সময়ে হাইওয়ে রাস্তায় হাট লাগানোর ফলে দুর্ঘটনা বাড়ছে।
সরকারী জায়গা দখল করে দোকান নির্মাণকারী মিজানুর রহমানের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিনি বাদেও কয়েকজন জায়গা দখল করেছেন। তার জায়গাটি দখল করতে অনেক টাকা খরচ হয়েছে। আবু বক্কর নামে এক ব্যক্তি জানান, তার নিজস্ব জায়গায় দোকান নির্মাণ করেছেন। স্থানীয় মসজিদ কমিটির ক্যাসিয়ার আসাদুল ইসলাম দাবি করেন, ফোর লেন রাস্তার কাজের জন্য বর্তমান বাজারের মসজিদটি ভাঙ্গা হয়েছে, একটি অস্থায়ী মসজিদ নির্মাণ করা জরুরি। কিন্তু, দখলদারের কারণে সম্ভব হচ্ছেনা।
স্থানীয় ব্যবসায়ী জামাল হোসেন, আলামিন, মজমুল মিয়া অভিযোগ করে বলেন, মিজানুর হাটের মাঝে একটি ঘর নির্মাণ করায় হাটের ভিতর রিকশা, ভ্যান, গাড়ী কিছুই ঢুকতে পারছেনা। অবৈধ দখলদারকে উচ্ছেদ করার জন্য তারা প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন।
এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান মৃধাকে জানানো হলে তিনি জানান, অতি তাড়াতাড়ি অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে সরকারি খাস জমি উদ্ধার করা হবে।
উল্লেখ্য, শীত মৌসুম চলায়, রাস্তার ধারে বাজার চললে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। তাই অতীতের কাঁচাবাজারের স্থানে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে, সেখানে আবার হাট বাজার চললে সড়ক দুর্ঘটনা কিছুটা হলেও কমে আসবে বলে মনে করেন সচেতন মহল।
Leave a Reply