শেরপুরের পাহাড়ি জনপদে হাতি মানুষের দন্ধ নিরসন, বন্যহাতি হত্যার প্রতিবাদ, হাতির অভয়াশ্রম তৈরী, বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২১ নভেম্বর রবিবার সকাল ১১ টায় শেনপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে জনউদ্যোগ শেরপুর জেলার উদ্যোগে এবং ইনিষ্টটিউট ফর এনভায়রনমেন্ট এন্ড ডেভলপমেন্ট (এনইইডি) এর ব্যবস্থাপনায় ঘন্টাব্যাপী এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
জনউদ্যোগ, শেরপুরের আহবায়ক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন শেরপুর জেলা জাসদের সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটন, শেরপুর প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মলয় মোহন বল, সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম আধার, জেলা উদীচী সভাপতি তপন সারওয়ার, শেরপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মানিক দত্ত, আয়োজক সংগঠনের সদস্য সচিব হাকিম বাবুল, আইনজীবী আলমগীর কিবরিয়া কামরুল, নারীনেত্রী আইরিন পারভীন, আঞ্জুমান আলম লিপি, সাবেক কাউন্সিলর নীরু শামছুন্নাহার নীরা,শেরপুর সদর উপজেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি সোলায়মান আহমেদ, আদিবাসী নেতা সুমন্ত বর্মন, বিতার্কিক ইমতিয়াজ চৌধুরী, খন্দকার শাহরিয়ার সৌরভ, শিশু সংগঠক মুশফিকুর রহমান রিদম প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ১৯৯৫ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত শেরপুরের গারো পাহাড়ি এলাকায় বন্যহাতির আক্রমণে মানুষ মারা গেছেন ৫৮জন। অন্যদিকে একই সময়ে মানুষের হাতে ৩১টি হাতির মৃত্যু হয়েছে। তাদের বেশিরভাগের মৃত্যু হয়েছে বৈদ্যুতিক ফাঁদে, গুলিবিদ্ধ হয়ে নয়তো ধারালো অস্ত্রের আঘাতে। বক্তারা গারো পাহাড়ে ১০ দিনের ব্যবধানে দুইটি হাতি হত্যার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং বনে হাতিদের অভয়ারণ্য গড়ে তুলে হাতি-মানুষের দ্বন্দ্ব নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান।
পরে জনউদ্যোগের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপিতে মানুষের জানমালের নিরাপত্তাসহ হাতি চলাচলের স্থানে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের অন্যত্র পুনর্বাসনের দাবি জানানো হয়। সেইসাথে হাতির অভয়াশ্রম গড়ে তোলা, হাতির প্রতি সদয় আচরণ, হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ বাড়ানোরও দাবি জানানো হয়।
Leave a Reply