সিরাজগঞ্জ চৌহালী উপজেলার সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়নে বেতিলচর আহসান নগর গ্রামে সরিষা ফুলের ব্যাপক সমাহার।
রাত শেষে সকাল হলে দেখা যায়, নীল আকাশের নিচে ফসলের মাঠজুড়ে হলুদ সরিষা ফুল। এ যেন প্রকৃতিতে বসন্ত লেগেছে সকালের সূর্যের কিরণ প্রতিফলিত হবার সঙ্গে সঙ্গেই সরিষা ফুলের সমারোহে হেসে ওঠে চারদিক।
মধু সংগ্রহে ব্যস্ত মৌ মাছিরা। পড়ন্ত বিকেলের মিষ্টি রোদে সরিষা ফুলগুলো বাতাসে দোল খেতে থাকে।ফুলগুলোর তাদের কলি ভেদ করে সুভাস ছড়িয়ে দিচ্ছে চারদিকে। এ যেন প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের লীলা ভূমি।
দিন শেষে বিকেলে দেখা যায়, ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে সরিষা মাঠে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা বিভিন্ন বয়সের নারী, পুরুষ, শিশুসহ বিনোদন প্রেমিরা। সরিষা মাঠ ঘুরে ঘুরে দেখেন এবং সৌন্দর্য উপভোগ করেন।কেউবা আবার মোবাইলফোনে সেলফি তুলেন।
সরজমিনে গিয়ে কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়,এক সময় এ গ্রামে সরিষার আবাদ হতো ব্যাপক পরিমাণ। বর্তমানে নদী ভাঙ্গনে অনেক গ্রামের মানুষ এই গ্রামে বাড়ি করেছেন, যার ফলে আবাদি জমির পরিমাণ কমে গেছে আর বিশেষ করে সয়াবিন তৈলের ওপর নির্ভরতা বাড়ায় বর্তমানে অনেকটাই কমে গেছে সরিষার আবাদ।
কৃষক সোলেমান মিয়া বলেন সরিষা চাষ করতে প্রতি বিগা জমিতে ৬ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। লাভ হবে প্রতি বিগাতে ৮ হাজার টাকার মত। সরিষা চাষে যে সার আমরা ব্যবহার করি, পরবর্তীকালে ইরি ধান রোপনের সময় সার বেশি দেওয়া লাগে না। এতে আমাদের খরচ কিছুটা কমে যায়। এবার মেঘ-বৃষ্টি না হলে আমরা লাভবান হবো ইনশাল্লাহ।
কৃষক সোলেমান মিয়া চ্যানেল একুশে টিভির নিউজ এ বলেন,আমি ১০ বিগা জমিতে সরিষা চাষ করেছি। খরচ হয়েছে ৬০ হাজার টাকার মত। তবে কৃষি অফিস থেকে কোনো সহযোগিতা পাইনি। নিজের টাকা দিয়ে সার কিনেছি। পোকার আক্রমণ হলে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারি।
কৃষক সোলেমান চ্যানেল একুশে টিভির নিউজে এ বলেন, ফুল আসা শেষের দিকে প্রায়। কার্তিক মাসে বীজ বুনেছি, পৌষ-মাঘ মাসের দিকে সরিষা তুলবো ইনশাআল্লাহ।
Leave a Reply