রাজশাহী গোদাগাড়ীর ৬ নং মাটিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নং ওয়ার্ড সদস্য নুরুজ্জামানের বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি, মাদক ব্যবসা, নারী কেলেংকারী, জমি জবর-দখলসহ বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। তার অপকর্মে দিশেহারা হয়ে তার বিরুদ্ধে জেলা- উপজেলা প্রশাসনসহ সরকারি বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ করে ও কোনো প্রতিকার মিলেনি ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর। উল্টো বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি-ধমকি দিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোকে বাকরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।
মোঃ নুরুজ্জামান মেম্বার এর মামলা নং স/২২, এফ আইআর নং৩৯/৩৭২ ,এফ আইআর নং ৪৮/৩৬৫ জিডি নং ৯৫ আরো পাঁচটা মামলা আসামি তিনি অভিযোগ শতাধিক ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নুরুজ্জামান রাজশাহী মহানগরীর কাটাখালি এলাকার হায়দার আলী নামের জামাতের এক ক্যাডারের ছত্রছায়ায় গড়ে তুলেছে ব্যক্তিগত এক সন্ত্রাসী বাহিনী। মূলত হায়দার আলীর বাড়ি কাটাখালী হলেও তার বোনের বাড়ি মাটিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের ফুলতলা এলাকায় নুরুজ্জামানের ৬ নং ওয়ার্ড় হওয়ার সুবাদে হায়দার আলীকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করে থাকে। বিনিময়ে হায়দার আলী নুরুজ্জামান কে দেয় আর্থিক ব্যাকাপ। এছাড়াও ইউপি সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তার পালিত সন্ত্রাসী বাহিনীর কাছে পুরো মাটিকাটা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডবাসী জিম্মি হয়ে পড়ে। তিনি তার অনুগত কয়েকজন সদস্যের মাধ্যমে গরীব মানুষের কাছ থেকে বয়স্ক ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা কার্ড, সরকারি গৃহনির্মাণ ইত্যাদির আশ্বাস দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে উচ্চহারে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
ইউপি সদস্য হওয়ার পাশাপাশি নুরুজ্জামান মাটিকাটা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। তিনি নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে মাটিকাটা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডবাসী মানুষকে এমনভাবে বাকরুদ্ধ ও জিম্মি করে রেখেছে যে তার ভয়ে কেউ তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পায় না। তার এসকল অপকর্মের তদন্ত করতে গত শুক্রবার সরেজমিনে তার এলাকায় গেলে এলাকাবাসী জানায়, তার এই সন্ত্রাসী বাহিনীর এলাকার কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলে এই নুরু তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম করে থাকে। গোদাগাড়ী এলাকা মাদক ব্যবসায়ীদের অভায়ারন্য হওয়ায়, এলাকার কয়েকজন বিশিষ্ট মাদক ব্যবসায়ীদের যাতায়াত রয়েছে তার বাড়িতে।
এছাড়াও নিষিদ্ধ সংগঠন জামাত নেতাকর্মীদের সাথে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিদ্যমান। তার ক্ষমতার উৎস জানতে গেলে সামনে আসে হায়দার আলী নামের এক চিহ্নিত জামাত নেতার নাম, যার বাড়ি রাজশাহী মহানগরীর উপকন্ঠ কাটাখালী এলাকায়। মূলত খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই জামাত নেতা হায়দার আলীর অর্থায়নে চলে ইউপি সদস্য নুরুজ্জামানের যত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড।
এই হায়দার আলীর সাথে নুরুজ্জামানের সম্পৃক্ততা অনুসন্ধান করতে, হায়দার আলীর ব্যবহৃত ফেসবুক আইডি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, নুরুজ্জামান মাঝেমধ্যে হায়দার আলীর সাথে বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করে থাকে যা হায়দার আলীর ফেসবুক পোস্টে পতিয়মান হয়। তার দাপটের কাছে স্থানীয় লোকজন অসহায়। তার কুরুচিপূর্ণ ভাষা, ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে তার নাম শুনলেই যেন ভয়ে আতকে উঠে মাটিকাটা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডবাসী।
গোদাগাড়ী মাটিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল রানার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন ধরেনি। ইউপি সদস্য নুরুজ্জামানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে তার নামে উঠে আসা অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে, তিনি বলেন,আমার নামের অভিযোগ সত্য নয়।একজন আওয়ামী লীগের নেতা হয়েও জামাত নেতা হায়দার আলীর সাথে কি সম্পর্ক এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন ও-ই শুধুমাত্র আমার পরিচিত আর কিছুই না। হায়দার আলীর সাথে তোলা ছবির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, আমি বাইরে আছি ভাই, আপনি আজকে চলে যান আমি আগামীকাল রাজশাহী এসে আপনার সাথে দেখা করবো। এর মধ্যে নিউজ করার দরকার নাই
Leave a Reply