জামালপুরের বকশিগঞ্জ উপজেলার ১নং ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্যদের প্রথম সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত। আজ ২৭ ফেব্রুয়ারী রোজ রবিবার, সকাল ১১.০০ ঘটিকায় ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়ন পরিষদে অনুষ্ঠিত হয়। নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান জনাব মোঃ মশিউর রহমান লাকপতির সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ হাসান জুবায়ের হিটলার, সভাপতি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়ন শাখা। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, জনাব আব্দুল হালিম আকন্দ, প্রধান শিক্ষক ফেইট ডিজিটাল একাডেমি, জনাব মোঃ গোলাম মুস্তফা (ভূমিহীন) সাবেক চেয়ারম্যান ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়ন, মোঃ ইউসুফ আলী সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশের আওয়ামীলীগ, ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়ন শাখা ও অন্যান্য নেতা-কর্মীবৃন্দ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন জনাব আব্দুল লতিফ খোকন, সচিব ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়ন পরিষদ। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অতিথিগণ তাদের বক্তব্যে ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের উন্নয়নে বিভিন্ন পরিকল্পনা তুলে ধরেন। জনাব আব্দুল হালিম বলেন, জনতার ভালোবাসায় সিক্ত আমাদের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান মশিউর রহমান লাকপতি। লাকপতি আমার অত্যন্ত স্নেহের ছাত্র। বিপুল ভোটে তাকে নৌকা প্রতীক নির্বাচিত করেছেন। এলাকাবাসীর উন্নয়নে, সমাজের উন্নয়নে অসহায় গরীব-দুঃখি মানুষদের পাশে সর্বদা থাকবে এই আশা বাদ ব্যক্ত করি। তার কর্মের মাধ্যমে আপনাদের মনিকুঠায় জায়গা করে নিবে, একজন সেবক হয়ে থাকবে আপনাদের পাশে। জনাব মোঃ হাসান জুবায়ের হিটলার বলেন, লাকপতি আমার ছোট ভাই, তার জন্য আপনাদের কাছে দোয়া চাই। এই ইউনিয়নকে একটি মডেল ইউনিয়নে রুপান্তরিত করতে আপনাদের সহযোগিতা কামনা করি। আপনাদের উন্নয়নে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান লাকপতি। জনাব আব্দুল লতিফ খোকন বলেন, একটি মডেল ইউনিয়ন বিনির্মানে নির্বাচিত চেয়ারম্যান, মেম্বার ও সচিবের পারষ্পরিক সহোযোগিতার প্রয়োজন। নির্বাচিত সকল সদস্যের সহোযোগিতা কামনা করি।
জনাব মোঃ গোলাম মুস্তফা বলেন,লাকপতি যত দিন চেয়ারম্যান হিসাবে থাকবেন কোন প্রকার অন্যায়-দূর্নীতিকে পশ্রোয় দিবেন না। সকলের কাছে সহযোগীতা ও চেয়ারম্যান সাহেবের জন্য দোয়া কামনা করি। নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান জনাব মোঃ মশিউর রহমান লাকপতি সমাপনী বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের আওয়ামী লীগের সভানেত্রী, দেশনেত্রী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দিয়েছিলেন। স্বাধীনতার ৫০ বছর পর নৌকা প্রতিকে আমি আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসায় চেয়ারম্যান হিসাবে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। আপনাদের ভালোবাসার প্রতিদানে আজ এই জায়গায় আসতে পেরেছি। আমি যে সমস্ত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম তা পূরন করতে সর্বচ্চো চেষ্টা চালিয়ে যাবো। আমি আমার ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়ন বাসীকে বলতে চাই, আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেও, আমি সর্বসাধারনের চেয়ারম্যান, আপনাদের সবার চেয়ারম্যান। আপনাদের যে কোন সমস্যা, যে কোন সহযোগিতা প্রয়োজন হলে আমাকে নিঃদ্বিধায় জানাবেন, প্রয়োজন হলে আমার সাথে সরাসরি দেখা করবেন। ২৪ ঘণ্টা আপনাদের সেবাই আমি প্রস্তুত। তিনি আরও বলেন কোন ঘুষ, বিজিএফ, বিজিটি, নেয্যমূলে চাল, বয়স্ক ভাতার, বিধবা ভাতার কার্ডের জন্য কেউ ১০ টা টাকাও দিবেন না। কোন মেম্বার, কোন নেতা-কর্মীরা যদি চায় সরাসরি আমাকে জানবেন। তিনি নির্বাচিত মেম্বার ও মহিলা মেম্বারদের উদ্দেশ্য বলেন, আপনাদের প্রতি বিশেষ অনুরোধ রইলো এখন থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক অসহায় গরীব-দুঃখী মানুষের জন্য যে সমস্ত অনুদান, সহায়তা ও কার্ড আপনাদের কাছে আসবে, অর্থের বিনিময়ে কেউ কার্ড বিক্রি করতে পারবেন। দূর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে জিরু টলারেন্স ঘোষণা করলাম, আমার কাছে দূর্নীতিবাজের কোন ঠাই নেই। তিনি আরও বলেন একটি মডেল ইউনিয়ন বিনির্মানে সবটুকু চেষ্টা চালিয়ে যাবো, এ জন্য সকলের সহযোগীতা চাই। অনুষ্ঠান শেষে ইউপি সদস্য ও নেতা-কর্মীদের জন্য মিলাদের আয়োজন করা হয়।
Leave a Reply