হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী বাঙালি জাতির জীবনে অতি আরাধ্য এক সময় । মুজিববর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ন জয়ন্তী উপলক্ষ্যে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতির পিতার ম্যুরালসহ “চেতনার বাতিঘর”-কমপ্লেক্স স্থাপন করা হয় ।
নেত্রকোণা জেলা ধন্য হয়েছিল, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চরণস্পর্শে ।
বিভিন্ন তথ্যসূত্রে জানা যায়, জাতির পিতা তার জীবদ্দশায় পাঁচবার নেত্রকোনা জেলায় আগমন করেছেন। জাতির পিতার প্রতি জনতার শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের জন্য নেত্রকোনা জেলায় বঙ্গবন্ধুর কোন দৃষ্টিনন্দন স্থায়ী ম্যুরাল নেই। নেত্রকোনা জেলা মুক্তিযুদ্ধ ও শিল্প সাহিত্যে চারণভূমি হওয়া সত্বেও এ জেলায় এই শূন্যতা বিরাজমান ছিল।
এরই প্রেক্ষিতে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসন কর্তৃক নেত্রকোণা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে “চেতনার বাতিঘর” কমপ্লেক্স স্থাপন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৃষ্টিনন্দন ম্যুরাল ও সৌন্দর্য বর্ধনে সুদৃশ্য গেট নির্মাণ, নাম ফলক এর মাধ্যমে জাতির পিতার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা প্রবাহ তুলে ধরা, লান্ডস্ক্যাপিং ইত্যাদি বর্তমানে প্রকল্প এলাকাটি শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তবুদ্ধি চর্চার প্রাণ কেন্দ্রে পরিনত হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু ও মুক্তি যুদ্ধের চেতনা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে সাধারন মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে, “চেতনার বাতি ঘর” প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ৮৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
তারই অংশ হিসাবে (২৬ ফেব্রুয়ারী/২২) শনিবার সন্ধ্যায়, নেত্রকোণা জেলা প্রশাসকের সন্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক কাজি মোঃ আবদুর রহমানের সভাপতিত্বে “চেতনার বাতিঘর” নিয়ে সাংবাদিক বৃন্দের সাথে মতবিনময় করেন জেলা প্রশাসন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, নেত্রকোণা পৌরমেয়র বীরমুক্তিযুদ্ধা নজরুল ইসলাম খান, জেলা মুক্তিযুদ্ধা সাবেক কমান্ডার নুরুল আমিন, জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ ও জেলা প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ।
জেলা প্রশাসক কাজি মোঃ আবদুর রহমান জানান, “চেতনার বাতিঘর” প্রতিষ্ঠার মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ হলো জাতির পিতার চিন্তা চেতনা ও জীবনাদর্শ প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে সঞ্চারিত করা, বিভিন্ন জাতীয় দিবসে নেত্রকোণা জেলার আপামর জনগন দৃষ্টিনন্দন ল্যান্ডস্কেপিং যুক্ত এলাকায় জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধানিবেদন করতে পারবে, ৭ টি প্ল্যাক এর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু জীবন সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে পারবে, শিশুতোষ বঙ্গবন্ধু কর্নারের মাধ্যমে এলইডি পয়ানেলের মাধ্যমে জাতির পিতার জীবনদর্শন, সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সচিত্রপ্রদর্শন করা হবে।
এর ফলে শিশুরা জাতির পিতা ও মুক্তিযুদ্ধের আর্দশে উজ্জীবিত হয়ে দেশ গঠনে ভুমিকা রাখবে। শিল্প সাহিত্যও সংস্কৃতিতে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ চর্চার অনুপ্রাণিত হবে।
“চেতনার বাতিঘর” নির্মানের মাধ্যমে সকল শ্রেনি পেশার মানুষের মাধ্যমে জাতির পিতার সংগ্রামীজীবন দর্শন ও জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ হবে।
Leave a Reply