ধুমধাম,উদ্যোগ-আয়োজনের মধ্য দিয়ে চলছিল বিয়ের আয়োজন। যথা সময়ে বর এলেন হেলিকপ্টারে চড়ে, কিন্তু বধা দিল প্রশাসন। তাই বিয়ে না করে মুচলেকা দিয়ে ফিরে যেতে হলো বরকে ।
গতকাল (২৫/০২/২২) শুক্রবার নেত্রকোনার পূর্বধলায় জেএম সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে।
স্থানীয় গ্রামবাসীর সূত্রে জানা যায়, বিয়ে উপলক্ষে বিশাল তোরণ ও প্যান্ডেল সাজিয়ে বরপক্ষকে বরণ করতে প্রস্তুত ছিল কনেপক্ষ। হেলিকপ্টারে চড়ে বর আসার খবরে এলাকার উৎসুক জনতা বিয়েবাড়ির আশপাশে ভিড় জমেছিল ।
কিন্তু কনের বয়স আঠারো না হওয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স বিয়ে বন্ধ করে দেন। ফলে বউ না নিয়ে ফিরে যেতে হয় বরপক্ষকে ।
এলাকাবাসী জানিয়েছেন, কিছুদিন আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার বাঞ্চারামপুর গ্রামের আলেক মিয়ার ছেলে শাহজালাল মিয়ার (৩০) সঙ্গে পূর্বধলার কান্দাপাড়া গ্রামের প্রবাসী বাবুল তালুকদারের মেয়ে সানিয়া আক্তারের বিয়ে ঠিক হয় ।
পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ের তারিখ নির্ধারণ হয় (২৫/০২/২২) শুক্রবার। কিন্তু কনে নবম শ্রেণির ছাত্রী হওয়ায় খবর পেয়ে বিয়েবাড়িতে আসেন প্রশাসনের লোকজন। জন্মসনদ যাচাই করে কনে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়ায় বিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাল্যবিয়ের খবর পেয়ে বিয়েবাড়িতে উপস্থিত হয়ে কনের জন্মনিবন্ধন সনদ চাওয়া হয় ।পরে সেটি যাচাই-বাছাই করে ভুয়া প্রমাণিত হলে দুপক্ষের মুচলেকা নিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় ।
নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক কাজি আব্দুর রহমান বলেন, কনে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়ায় বিয়েটি বন্ধ করে দুই পক্ষের মুচলেকা নেওয়া হয়েছে ।
Leave a Reply