শেরপুরের শ্রীবরদীতে একদিন ক্লাশে না আসায় বাড়ি থেকে মাদ্রাসায় ডেকে এনে এক ছাত্রকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগে উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ৭ ফেব্রুয়ারি সোমবার বিকেলে জেলার শ্রীবরদী উপজেলার খড়িয়া কাজিরচর ইউনিয়নের পূর্ব খড়িয়া নূরে হেরা নূরানী তালিমুল কুরআন মাদ্রাসায় এই ঘটনা ঘটে। আহত ছাত্রকে সোমবার রাতে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অভিযুক্তের পিতা ওই এলাকার মো. খলিলুর রহমান খোকন জানিয়েছেন, তার ছেল হাফেজ আসিফুল ইসলাম বিজয় (১৫) উক্ত মাদ্রাসা থেকে সম্প্রতি হেফজ সম্পন্ন করছে। সোমবার শুনানির জন্য ক্লাসে আসতে দেরি হওয়ায় তাকে বাড়ি থেকে মাদ্রাসায় ডেকে নিয়ে সহকারী শিক্ষক হাফেজ মোঃ আমান উল্লাহ বেধড়ক পিটুনি দেয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেয়। এদিকে ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত শিক্ষক জেলা শহরের উত্তর গৌরীপুরের আবদুল্লাহ’র ছেলে হাফেজ আমান উল্লাহ পলাতক রয়েছে। তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এদিকে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হলে শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখে রাতেই স্বজনেরা মানবাধিকার সংস্থা আমাদের আইন এর শেরপুর জেলার চেয়ারম্যান মোঃ নূর-ই- আলম চঞ্চল ও সেক্রটারী নাজমুল আলমের সহযোগিতায় ছাত্রটিকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান সাংবাদিকরা এবং ফেসবুকে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ভিডিও।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মো. সুরুজ্জামান বলেন, ওই ছাত্রের হাত ও পিঠে অনেক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এখন সে আশঙ্কামুক্ত।
আহত মাদ্রাসা ছাত্রের পিতা ও বড় ভাই এ ঘটনার জন্য দায়ী শিক্ষকের শাস্তি দাবি করেছেন।
শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, এবিষয়ে থানায় মামলা রুজু হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করতে রাতেই তার বাসা সহ সম্ভাব্য স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে এবং এখনো অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Leave a Reply