গত (০২/০২/২২) বুধবার রাতে নেত্রকোণায় জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এন এস আই)ভারত থেকে অবৈধভাবে আনা প্রসাধনী সামগ্রী ও শিশু খাদ্য জব্দ করেছে।
জেলা শহরের মোক্তারপাড়া এলাকায় রাত ৯টার দিকে এস এ পরিবহন কুরিয়ার এন্ড পার্শ্বেল সার্ভিস অফিসে অভিযান চালিয়ে চোরাই পথে আমদানি করা ওই সমস্ত মালামাল জব্দ করে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার নেত্রকোনা মডেল থানায় মামলা হয়েছে।
নেত্রকোনা এন.এস.আই সূত্রে জানায়, জেলার সীমান্ত এলাকা দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা থেকে একটি চোরাকারবারী চক্র দীর্ঘদিন ধরে ভারত থেকে অবৈধভাবে বিভিন্ন মালামাল আমদানি করে চোরাই পন্য এস এ পরিবহন কুরিয়ার এন্ড পার্শ্বেল সার্ভিস অফিসের মাধ্যমে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রেরণ করছিল। এরই প্রেক্ষিতে এন এস আই গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।
গত বুধবার সন্ধ্যার পর ১১বস্তা শাড়ী ঢাকার কাকরাইলে প্রেরণের জন্য এস.এ(SA) পরিবহনে মেমো কাটা হয়। এই খবর পেয়ে এন এস আই অফিস জেলা প্রশাসনের সহায়তায় নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সাদিয়া উম্মুল বানিনের নেতৃত্বে এস.এ(SA)পরিবহন কুরিয়ার এন্ড পার্সেল সার্ভিস অফিসে অভিযান চালায়। বিপুল পরিমান ভারতীয় প্রসাধনী ও শিশু খাদ্য জব্দ করে।
নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার সদরের জনৈক ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন প্রতি মাসে ১০-১২ বার কাপড় প্রেরণের নামে ভারতীয় প্রসাধনী পাচার করছিল। এ ব্যাপারে আনোয়ার হোসেনের মালামাল পার্সেল করতে আসা পূর্বধলা পাট বাজারের কদর খানের ছেলে মমতাজ উদ্দিনকে আটক করা হয়।
জব্দকৃত মালামালের সিজার লিস্ট তৈরী করা হচ্ছে। পরবর্তীতে এ ব্যাপারে মামলা করা হবে।
এস.এ(SA)পরিবহনের নেত্রকোনা অফিসের ম্যানেজার ফারুক আহমেদ জানান, পূর্বধলার ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন প্রায়ই নিজের মোবাইল নাম্বার দিয়ে ঢাকায় মালামাল প্রেরণ করেন। শাড়ী কাপড়ের আড়ালে তিনি যে ভারতীয় অবৈধ পণ্য প্রেরণ করেন তা জানা ছিল না। এখানে মালামাল পরীক্ষা করার কোন যন্ত্র নেই। কাস্টমাররা যা বলে তাই বিশ্বাস করে প্রেরণ করা হয়।
এ ঘটনায় নেত্রকোনা মডেল থানার এসআই দুলাল বাদী হয়ে নেত্রকোনা মডেল থানায় মামলা করেছেন। নেত্রকোনা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আটক হওয়া ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
Leave a Reply