যেখানে অন্যান্য ফসল চাষ করে লাভবান হতে পারছে না চাষিরা, সেখানে কলা চাষই সফলতার হাসি এনেছে এ উপজেলার চাষিদের মুখে। ফলে দিন দিন বেড়েই চলছে কলা চাষ। সম্পৃক্ত হচ্ছেন নতুন নতুন চাষি। একরের পর একর কলা বাগান করে বছর শেষে মোটা অঙ্কের টাকা উপার্জন করতে পারায় স্থানীয় অনেক যুবকও পেশা বদলাচ্ছেন। অন্য পেশা ছেড়ে আসছেন কলা চাষে।
কলা চাষ করে স্বাবলম্বী বড়ভিটা ইউনিয়নের পূর্বধনিরাম গ্রামের নিরমল চন্দ্র রায়। অন্য ফসলের চেয়ে অনেক বেশি লাভ হয় কলা চাষে এ কারণে ১৫-১৬ বছর ধরে কলা চাষ করছেন তিনি।
কলার বাম্পার ফলনে চোখ- মুখে তৃপ্তির হাসি কলা চাষির ।
তিনি জানান, কলা চাষে বিঘা প্রতি খরচ হয় প্রায় ২৫-৩০ হাজার টাকা। বিঘা প্রতি কলা বিক্রি হয় প্রায় ৭০-৮০ টাকা ও লাভ হয় বিঘা প্রতি ৪৫-৫০ হাজার টাকা।
কলা চাষ লাভজনক হওয়ার কারণে অনেকে কলা চাষে দিকে ঝুঁকছে । সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় কলা চাষি নিরমল চন্দ্র রায়ের সাথে। তিনি এবার ৪বিঘা জমিতে মালভোগ ও কাচা কলা চাষ করেছেন। আরও কলা চাষ বাড়াবেন আগামীতে।
তার কলা চাষ দেখে উৎসাহিত হয়ে কলা চাষে আগ্রহী হচ্ছে এলাকার বেকার যুবকরা। ইতিমধ্যেই কলা চাষ শুরু করেছেন তার ছোট ভাই কৃষ্ণ চন্দ্র রায়, হেলাল উদ্দিন, শফিকুল ইসলামসহ আরও অনেকে।
বিভিন্ন জায়গার কলা ব্যবসায়ীরা কলা কিনতে আসেন। উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছে কলা। নিরমল চন্দ্র রায়ের মতো চেষ্টা করলে সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছনো সম্ভব। সবাই এককটি ক্ষেত্রে কর্মে আত্ননিয়োগ করলে নিজের, পরিবারের ও দেশের চাহিদা পূরণ করা দুষ্কর নয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লিলুফা ইয়াছমিন বলেন, উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে বিভিন্ন চরাঞ্চলসহ মোট ১১০ হেক্টর জমিতে চাষিরা কলার চাষ করেছে। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ সার্বিকভাবে সব সময় কৃষকদের পাশে রয়েছেন। কারিগরি সহায়তা প্রদান করছেন এবং যেকোন সমস্যায় কৃষকদের পাশে রয়েছেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে কলার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।
Leave a Reply