২০১৫ সালে লাইভ স্ট্রিমিং ফিচার চালু করে ফেসবুক। তখন থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত এই ফিচারটি জনপ্রিয়তা একটুও কমেনি। বরং ফেসবুকে লাইভ স্ট্রিমিং এর জনপ্রিয়তা দিনদিন বেড়েই চলেছে।
গতবছরের চেয়ে এই বছর ফেসবুক লাইভ ব্রডকাস্ট এর সংখ্যা বেড়েছে। এছাড়াও ফেসবুক এর প্রতি ৫টি ভিডিওর মধ্যে একটি লাইভ ভিডিও হওয়ার ব্যাপারটি থেকেই প্ল্যাটফর্মটিতে লাইভ স্ট্রিমিং এর জনপ্রিয়তা অনুমান করা যায়।
ফেসবুকে লাইভ ভিডিও জনপ্রিয় হওয়ার মূল কারণ বলা যায় এতে দর্শকদের অংশগ্রহণের সুযোগকে। লাইভ ভিডিওতে দর্শকরা লাইক, কমেন্ট, শেয়ার, এমনকি প্রশ্নও করতে পারে। যার ফলে সাধারণ ভিডিওর চেয়ে লাইভ ভিডিওতে এনগেজমেন্ট বেশি হয়ে থাকে।
ফেসবুকে যদি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান হিসেবে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে চান, তাহলে লাইভ স্ট্রিমিং এর বিকল্প নেই। চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে ফেসবুক লাইভ ভিডিও স্ট্রিমিং করবেন।
মোবাইল ফোন ও কম্পিউটার, উভয় ডিভাইস থেকেই ফেসবুক লাইভ স্ট্রিমিং করা যায়। ফেসবুকে প্রোফাইল কিংবা পেজ হিসেবে প্রোফাইল, পেজ ও গ্রুপে লাইভস্ট্রিম করা যায়
লাইভ ভিডিও চলাকালীন তা অন্যদের নিউজ ফিডে প্রদর্শিত হবে। অনেককে ফেসবুক থেকে নোটিফিকেশনও দেয়া হবে। এছাড়াও লাইভ শেষ হওয়ার পর উক্ত লাইভ ভিডিও নিউজ ফিড ও ফেসবুক ওয়াচ এ দেখানো হবে। লাইভ স্ট্রিমিং এর ব্রডকাস্ট শেষ হওয়ার পর লাইভ ভিডিও এর রেকর্ডিং এডিট করে শেয়ার করার সুযোগ থাকছে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক মোবাইল থেকে ফেসবুকে কিভাবে লাইভ স্ট্রিমিং করবেন। মোবাইল থেকে একাধিক উপায়ে ফেসবুক লাইভ স্ট্রিমিং করা যায়। প্রথমত ফেসবুক অ্যাপ ব্যবহার করে ফেসবুকে লাইভ স্ট্রিমিং করা যাবে। ফেসবুক অ্যাপ ব্যবহার করে লাইভ স্ট্রিমিং করতেঃ
ফেসবুক এর ক্রিয়েটর স্টুডিও অ্যাপ ব্যবহার করেও লাইভ স্ট্রিমিং করা যায়।
ফেসবুক ক্রিয়েটর স্টুডিও অ্যাপ ব্যবহার করে লাইভ স্ট্রিম করতেঃ
মোবাইলের মত কম্পিউটার থেকেও বিল্ট-ইন মাইক্রোফোন ও ওয়েবক্যাম ব্যবহার করে ফেসবুকে লাইভ স্ট্রিমিং করা যায়। এছাড়াও কম্পিউটার ব্যবহার করে লাইভ স্ট্রিমিং এর ক্ষেত্রে উন্নত যন্ত্রপাতি যুক্ত করার সুযোগ রয়েছে।
গ্রাফিক্স, স্ক্রিন-শেয়ারিংসহ অন্যসব অ্যাসেট ব্যবহার করে আপনার লাইভ স্ট্রিমকে নেক্সট লেভেলে নিয়ে যেতে ব্যবহার করতে পারেন স্ট্রিমল্যাবস বা ওবিএস এর মতো স্ট্রিমিং সফটওয়্যার। আপনি যে উপায়ই নির্বাচন করুন না কেন, প্রথমে আপনাকে লাইভ প্রডিউসার টুল ব্যবহার করতে হবে।
বিল্ট-ইন ওয়েবক্যাম ও মাইক্রোফোন ব্যবহার করে কম্পিউটারে ফেসবুক লাইভ স্ট্রিমিং করতেঃ
এনকোডার বা এনকোডিং সফটওয়্যার নামেও পরিচিত কিছু স্ট্রিমিং সফটওয়্যার লাইভ প্রডিউসার টুলে ব্যবহার করা যাবে। এসব সফটওয়্যার ফেসবুক এপিআই ব্যবহার করা সরাসরি সফটওয়্যার থেকে ফেসবুক লাইভ স্ট্রিমিং এর সুবিধা করে দেয়।
এইসব সফটওয়্যার ব্যবহার করার নিয়ম সফটওয়্যার ভেদে ভিন্ন হয়ে থাকে। তাই প্রতিটি সফটওয়্যার দ্বারা ফেসবুক লাইভ স্ট্রিমিং করার পদ্ধতি ভিন্ন হয়ে থাকে। আপনি কি ধরনের লাইভ স্ট্রিমিং করতে চান তার উপর এসব সফটওয়্যার এর প্রয়োজনীয়তা নির্ভর করে। কিছু কিছু স্ট্রিমিং সফটওয়্যার ফ্রি ও ওপেন-সোর্স হয়ে থাকে।
আপনার মেসেঞ্জার রুম এ ঘটিত আলাপ যদি বিশ্বের সকলের সাথে শেয়ার করতে চান, সেক্ষেত্রে মেসেঞ্জার রুম লাইভ স্ট্রিমিং করার সুবিধাও রয়েছে। বর্তমানে শুধুমাত্র ক্রোম ব্রাউজার থেকেই মেসেঞ্জার রুম ব্রডকাস্ট করা যায়।
মেসেঞ্জার রুম এর ভিডিও লাইভস্ট্রিম করতেঃ
উল্লেখ্য যে কম্পিউটার থেকে ব্রাউজার বা স্ট্রিমিং সফটওয়্যার ব্যবহার করে লাইভ স্ট্রিমিং এর ক্ষেত্রে একটানা সর্বোচ্চ ৮ঘন্টা লাইভ করা যায়। অন্যদিকে মোবাইল থেকে একটানা ফেসবুক লাইভ স্ট্রিমিং করা যায় সর্বোচ্চ ৪ঘন্টা।
Leave a Reply