বর্তমানে, বারহাট্টা উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামে ছড়িয়ে পড়ছে গাজা, ফেন্সিডিল, ড্যান্ডি, ইয়রবাসহ সকল নেশার উপকরন।
মাদকের বিষাক্ত ছোবলে উৎকন্ঠিত অভিভাবকরা। তাদের চিন্তা কখন যেন, মাদকের নেশার জালে আটকা পড়ে তার প্রিয় সন্তানটি।
বারহাট্টা উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম- (গোপালপুর, গড়মা, গুহিয়ালা, কাশবন. আন্দাদিয়া, বারঘর ইত্যাদি) ঘুরে- নেশা সম্পর্কে এলাকাবাসীর কাছে জানতে চাইলে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক অভিবাক বলেন- বিকেলবেলার পর থেকেই নেশার জন্য ছুটাছুটি শুরু হয়ে যায়, সন্ধ্যার পর বিভিন্ন জায়গায় নেশার আড্ডা জমে উঠে। এতে তরুণ ও যুবকরা যুক্ত থাকায় তাদের কিছু বলার সাহস হয়ে ওঠেনা। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন, মাঝে মাঝে ধর-পাকরাও করলেও আসামী থানা পর্যন্ত যাবার আগেই সব মিটমাট হয়ে যায়। মাঝে মধ্যে পুলিশ মাদকদ্রব্য ব্যবসায়ীদের দুই চারজনকে ধরলেও মূল হোতারা থেকে যায় ধরা ছোয়ার বাইরে।
বারহাট্টায় নেশার পাশাপাশি আবার জুয়ারির সংখ্যাও বেড়ে চলেছে। জুয়া খেলার মোহে এখন তরুণ, যুবক ও কিশোরও পড়েছে। মোড়ে মোড়ে চায়ের দোকানগুলোতে টিভিতে ক্রিকেট অথবা ফুটবল খেলা যাই হোকনা কেন জুয়ার বাজী ধরাই এখন তাদের নেশা হয়ে পড়েছে। বারহাট্টায় বর্তমানে কয়েকটি জুয়া খেলার বোটও চালু রয়েছে।
সাধারণ জনগণ মাদকের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন।
মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে আমাদের সচেতন হতে হবে। মাদকবিরোধী অভিযান জোরদারকরণ, নৈতিক শিক্ষা, সামাজিক মূল্যেবোধ জাগ্রত করতে হবে। মাদকের ভয়াল ছোবল থেকে তরুণ ও যুবকদের রক্ষাকল্পে আইনের শাসন ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই।
Leave a Reply